শুরু হচ্ছে বাংলা শস্য বীমা যোজনার টাকা দেওয়া, কবে থেকে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে দেখে নিন | Bangla Shasya Bima Crop Insurance

পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য দুর্দান্ত সুখবর। রাজ্যের কৃষকদের উদ্দেশ্যে এক বিশাল বড়ো খুশির খবর ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার চাষি ভাইদের ফসলের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ কিছু পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বছরে বহুবার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় বাংলার কৃষকদেরকে। তাদের এই ক্ষতি পূরণ করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কৃষকদের ক্ষতিপূরণের জন্য কি বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার? ক্ষতি পূরণ স্বরূপ কত টাকা করেই বা দেওয়া হবে তাদেরকে? 

পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে যেমন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শস্য বীমা প্রকল্প চালু করা হয়েছে তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশের কৃষকদের আর্থিক সাহায্যার্থে চালু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি। এই যোজনার আওতায় বছরে ৩ বার ২,০০০ টাকা করে মোট ৬,০০০ টাকা দেওয়া হয়। যাতে এই টাকা দিয়ে তারা চাষ বাসের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্ৰী কিনে ভালোভাবে চাষবাস করে একটু বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

এখন আলু চাষের মরশুম চলছে। আর এই সময়ই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বর্ষন দেখা দিচ্ছে। এই অতিবৃষ্টির ফলে কৃষকদের আলু চাষের ক্ষতি তো হয়েছেই এর উপরে আবার DVC থেকে জল ছাড়া হয়েছে। আর তার ফলে আরও বেশি করে ক্ষতি হয়েছে আলু চাষের ক্ষেত্রে। আলু এখনো পর্যন্ত জমি থেকে তোলা হয়নি আর তার আগেই জমিতে জল জমে যাওয়ার কারনে আলু চাষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আর সেই কারনেই চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন বাংলার আলু চাষিরা। তাদের দুশ্চিন্তার কারণ একটাই যে এইভাবে অতিবৃষ্টির কারনে যদি সব আলু নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আলুর দাম আগের বছরের মতোই বেড়ে যাবে। কিন্তু এত সবের পরেও একটা প্রশ্ন থেকেই যায় আলু বিক্রেতাদের যা হবার তা তো হবেই কিন্তু আলু চাষিদের যে চরম পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গেল তার কি হবে? 

রাজ্যের মধ্যে বাঁকুড়া জেলাতে সবচাইতে বেশি পরিমাণে আলু চাষের ক্ষতি হয়েছে। এমনটাই খবর রয়েছে রাজ্য কৃষি দফতরের কাছে। বাঁকুড়া জেলার আলু চাষিদের কাছ থেকেই প্রতি বছর আলু কিনে রাজ্য সরকার সুজলা সুফলা স্টলে বিক্রি করে থাকে। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারের আয় হয় অন্যদিকে তেমনি আলু চাষিদের হাতেও কিছু অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা আসে। তবে এবছর অতিবৃষ্টির কারনে আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেই আয়ের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সেই কারনেই ক্ষতি পূরণের একমাত্র পথ হিসেবে বাংলার চাষি ভাইরা এখন শস্য বীমা যোজনার টাকা পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। 

এই শস্য বীমা যোজনার টাকা পাওয়ার জন্য কৃষকদেরকে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। তবেই তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সঠিক সময়ে শস্য বীমা যোজনার টাকা ঢুকবে। এই জন্য কবে থেকে আবেদন পত্র জমা নেওয়া শুরু হবে এবং কবে টাকা ঢুকবে সেই নিয়ে গভির অপেক্ষায় দিন গুনছেন বাংলার কৃষকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *