বাড়িতে কন্যা সন্তান থাকলে লটারি লেগেছে আপনার। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের যেকোনো পরিবারে যদি কন্যা সন্তান থেকে থাকে তাহলে তারা প্রত্যেকেই পেয়ে যাবেন ১০ লক্ষ টাকা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, একেবারে দশ লক্ষ টাকা অর্থাৎ আপনাদের বাড়িতে যদি ১০ বছরের নিচে কন্যা সন্তান থেকে থাকে তাহলে আপনার লটারি লেগে গেছে। কেন্দ্র সরকারের নতুন সঞ্চয় স্কিমের মাধ্যমে মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেয়ে যেতে পারেন প্রতিটি পরিবার তবে এক্ষেত্রে প্রধান শর্ত হলো বাড়িতে কন্যা সন্তান থাকতে হবে। কন্যা সন্তান থাকলেই ১০ লক্ষ টাকা কি করে পাওয়া যাবে সেটা অবশ্যই আপনারা শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেনকন্যা সন্তান থাকলেই ১০ লক্ষ টাকা কি করে পাওয়া যাবে সেটা অবশ্যই আপনারা শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর নারী কল্যাণ উন্নতির জন্য একের পর এক নতুন নতুন বিভিন্ন প্রকল্প সূচনা করেছেন। সেই কারণে স্লোগান তুলেছেন বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও। কেন্দ্র সরকার কন্যা সন্তানের উন্নতির জন্য বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হল কন্যা সন্তানরা যাতে সমাজে অবহেলিত না হয়, যোগ্য সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে এবং তাদের সার্বিক উন্নতিতে যাতে কোন প্রকারের আর্থিক বাধা না আসে এবং তারা যাতে সম্মানের সাথে সমাজে মাথা তুলে বাঁচতে পারে ও তারা যাতে পড়াশোনা বা বৈবাহিক সমস্যায় না পড়ে তার জন্যই এই প্রকল্প। সেই কারণে ভারত সরকারের এই বিশেষ প্রকল্প। তাই চলুন বন্ধুরা আর বেশি দেরি না করে এই প্রকল্পটির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি। কেন্দ্র সরকারের তরফে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্প চালু হয়ে রয়েছে। তবে ভারতের অনেক পরিবার এখনও এই প্রকল্প সম্বন্ধে জানেন না। যারা যারা এখনো এই প্রকল্পের সম্বন্ধে ওয়াকিবহুল নয় তারা অবশ্যই জেনে নেবেন। বর্তমানে এই প্রকল্পের বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে সর্বপ্রথম সেগুলি তুলে ধরা হলো।
প্রকল্পের নাম:
বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য এখানে যে প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে সেই প্রকল্পটি হল সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা। এই যোজনার মাধ্যমে আপনারা পেতে পারেন ১০ লক্ষ টাকা।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় নতুন কি পরিবর্তন হয়েছে:
নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে আপনার পরিবারের কন্যা সন্তান থাকলেই সরকারের পক্ষ থেকে 10 লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে এই প্রকল্পের বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে যেগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিবর্তন গুলি নিম্নলিখিত-
১. ইতিপূর্বে শুধুমাত্র ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায়, পোস্ট অফিসে ও HDFC ব্যাঙ্কে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার সুবিধা পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে এই ব্যাংকগুলিই নয় এর সঙ্গে দেশের যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এই যোজনার অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
২. এতদিন পর্যন্ত সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার আওতায় জমা রাখা টাকার উপর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ৭.৬০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হতো। কিন্তু এবার থেকে সেই সুদের হার বাড়িয়ে পুরোপুরি ৮ শতাংশ করা হয়েছে। যেটি জনসাধারণের জন্য খুবই লাভজনক। অর্থাৎ টাকার পরিমান আরো বাড়বে।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা প্রাথমিক শর্ত:
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু প্রাথমিক শর্ত মেনে চলতে হবে সেগুলি হল-
•সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে আপনাদের কন্যা সন্তানের বয়স হতে হবে জন্ম থেকে দশ বছরের মধ্যে। দশ বছরের বেশি বয়স হলে এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পাওয়া যাবে না। তাই যাদের বয়স দশ বছরের কম তারা এই প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত।
•একটি পরিবারে প্রথম দুই কন্যা সন্তানদের নামে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তবে অনেক পরিবারের তিনটি কন্যা সন্তান থাকলেও এই সুবিধা পেতে পারেন তবে এক্ষেত্রে প্রথম কন্যা সন্তানের পরবর্তীতে দ্বিতীয়বার যমজ কন্যাসন্তান হলে সেক্ষেত্রে তিনটি কন্যা সন্তানের জন্যই এর সুবিধা পাবেন।
•এই যোজনার আওতায় মাসিক প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার পরিমাণ হল সর্বনিম্ন ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১২,৫০০ পর্যন্ত। বিনিয়োগকারীকে তার সন্তানের ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে মাসে প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। তারপর সেই সন্তানের যখন ২১ বছর বয়স হবে তখন সে তার মোট জমাকৃত টাকা তুলে নিতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে তিনি সন্তানের লেখাপড়ার জন্য তার ১৮ বছর বয়স হলে এই যোজনায় জমানো টাকার থেকে কিছুটা পরিমাণ টাকা তুলতে পারবেন। অর্থাৎ এই প্রকল্প করা থাকলে কন্যা সন্তানের বিয়ে নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না পরিবারকে।
•এখানে সর্বপ্রথম ১ হাজার টাকা দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে এবং অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অভিভাবকের KYC এবং সন্তানের জন্ম সার্টিফিকেট জমা করতে হবে।
সুকন্যা সমৃদ্ধির যোজনার মাধ্যমে কি কি সুবিধা পাবেন:
ভারত সরকারের এই নব প্রকল্পে আপনার সন্তানের নাম নথিভুক্ত করা হলে যেসব সুবিধা গুলি পাবেন সেগুলি হল-
এই প্রকল্পের আওতায় আপনি যদি প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে জমা করেন তাহলে মেয়াদ শেষে আপনি 5 লক্ষ 92 হাজার টাকা পেয়ে যাবেন।প্রতিমাসে ২০০০ টাকা করে জমা করলে মেয়াদ শেষে আপনি পাবেন ১০ লক্ষ টাকা। আবার যদি কোন অভিভাবক প্রতিমাসে ১২৫০০ টাকা করে জমা করেন সেক্ষেত্রে মেয়াদ থেকে পাবেন ৬৩ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ যে যেরকম প্রিমিয়াম দেবে সে মেয়াদ শেষে সেরকম টাকা পাবে।
আবেদনের পদ্ধতি:
এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে নিকটবর্তী পোস্ট অফিস অথবা ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে এবং একাউন্ট খুলতে হবে। সেখানে আপনার সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট ও আপনাকে যাবতীয় নথিপত্র আবেদন পত্রের সঙ্গে জমা করতে হবে।
তাই আর দেরি না করে আজই এই প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করতে হলে আপনার কন্যা সন্তানের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে ফেলুন।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
নিত্যনতুন এই ধরনের চাকরির আপডেট ও প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।
Join Telegram Channel : CLICK HERE
Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.