বর্তমান দশকে যুগের পরিবর্তন ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য মানুষের কর্মপদ্ধতি ও কর্মদক্ষতার পরিবর্তন ঘটেছে এবং অদূর ভবিষ্যতে আরো পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। আগেকার যুগের মানুষের কর্মপদ্ধতি ছিল পুরোপুরি আলাদা। আমরা যদি দেখি প্রাচীনকালে মানুষেরা নিজের চাহিদা অনুযায়ী কৃষিকাজ ও পশু পালনের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তার পরবর্তীতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পেশার উদ্ভব হয়েছে। যেমন- কামার, কুমোর, ছুতোর, রাজমিস্ত্রি, বণিক ইত্যাদি তবে এসব এখন অতীত বর্তমানে ডিজিটাল যুগের নতুন নতুন কাজের উদ্ভব ঘটেছে যেখানে বাড়ি বসে শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে সকলেই এবং আপনিও করতে পারবেন। বর্তমান যুগে যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে দেখব একাধিক আধুনিক পেশার উদ্ভব ঘটেছে যা প্রাচীনকালের মানুষের কল্পনার বাইরে।
আধুনিক যুগে এই আমুল পরিবর্তনের পেছনে সবথেকে বড় অবদান অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট। বর্তমানে আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনটি পৃথিবীর যে প্রান্তে বসে পড়ছেন তার পেছনে সবথেকে বড় অবদান হলো এই ইন্টারনেট। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের কাজের ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। বিশেষত করোনা মহামারীর কালে গোটা বিশ্বে যে হাহাকার দেখা দিয়েছিল, হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিল, তা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল ঘরে বসে কাজ করা। আর পরবর্তীতে এই ঘরে বসে কাজ করাকেই অনেকে পার্মানেন্ট প্রফেশনালে পরিণত করেছে। যাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। এই ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন তাহলে আপনি ভাবছেন কিভাবে এই ফ্রিল্যান্সিং করবেন? আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই আমাদের এই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনিও লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন ঘরে বসেই।
* ফ্রিল্যান্সিং কী? (What is Freelancing):- মূলত ফ্রিল্যান্সিং হলে এমন একটি সংস্থা যেখানে ব্যক্তিরা তাদের সমস্ত কাজের দক্ষতা অনুযায়ী বায়োডাটা বানিয়ে তার কাজের দক্ষতা দেখিয়ে থাকে এবং ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্ট সেই সমস্ত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে সরাসরি কাজের আদান-প্রদান করে এবং কাজের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা দেওয়া হয়, বিদেশে কোন ক্লায়েন্টের কাজ করা হলে এখানে ডলারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকামের সুযোগ রয়েছে।
* ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিভিন্ন শ্রেণী বিভাগ:-
এই ফিল্ডে একাধিক কাজের সুযোগ রয়েছে, যা আপনি ঘরে বসেই নিশ্চিন্তে করতে পারবেন। নিম্নে ফ্রিল্যান্সিং কয়েকটি কাজের নমুনা তুলে ধরা হলো-
১) বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ব্লগে লেখালেখি এবং সম্পাদনা:
আপনি যদি লেখালেখির কাজ পছন্দ করে থাকেন তাহলে বিভিন্ন নিউজ পেপার অথবা অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনার প্রতিবেদন লিখতে পারেন।
২) গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ইলাস্ট্রেশন এর কাজ:
অনেক ব্যক্তি আছেন যারা ও ইলাস্ট্রেশনের কাজ করে থাকেন এবং এটি তাদের পেশা। এই পেশা অনুযায়ী তারা তাদের বায়োডাটা বানিয়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে তাদের দক্ষতা প্রকাশ করে থাকে এবং সেখান থেকে গ্রাফিক ডিজাইনাররা ওয়েবসাইট, লোগো, ব্র্যান্ডিং উপকরণ, মার্কেটিং সমান্তরাল, ইনফোগ্রাফিক্স এবং চিত্রের জন্য ভিজ্যুয়াল ডিজাইন তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ক্লায়েন্ট তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাজ পছন্দ হলে প্রচুর পরিমাণে টাকা দিয়ে থাকে।
৩) ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন কাজ করে টাকা ইনকাম:
যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিভিন্ন ওয়েবসাইট বানানো ও ডিজাইন করার কাজে দক্ষ সেই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য এখানে প্রচুর কাজ রয়েছে। একটি ওয়েবসাইট রেডি করে দিতে পারলে এখানে 800 থেকে 1000 ডলার পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন এর কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজে যুক্ত হতে পারেন। আর ঘরে বসে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন। এখানে কাজ জানলে লক্ষ লক্ষ টাকা এক নিমিষেই সেই ইনকাম করা সম্ভব।
৪) প্রোগ্রামিং এবং সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কাজ করে টাকা ইনকাম:
আপনি যদি প্রোগ্রামিং বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ জেনে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এখানে প্রচুর কাজ রয়েছে। অনেকেই এখানে নতুন করে কাজ শিখে তারপরে এই সমস্ত কাজ করে থাকে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা অর্জন করে। বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং কাজকর্ম জানা থাকলে বিভিন্ন বিদেশি ক্লায়েন্টরা এখানে যোগাযোগ করে এবং যারা এই কাজের দক্ষ তাদের প্রচুর পরিমাণে টাকা দিয়ে তাদের কোম্পানিতে এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজের মাধ্যমে প্রচুর বেতন দিয়ে থাকে।
৫) ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করে টাকা ইনকাম:
বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তার সব থেকে বেশি এবং এখানে কাজ করে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা অর্জন করছেন। যারা এই কাজ বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন জায়গায় যে কোন অনলাইনের প্রডাক্ট বিক্রি করে বা যেকোনো পরিসেবা দিয়ে প্রচুর টাকা অর্জন করে থাকে কমিশনের মাধ্যম। এখানে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং মার্কেটিং, ওয়েব মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং অ্যাড মার্কেটিং ইত্যাদির মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রি করে প্রচুর ইনকাম করা যায়।
৮) অনলাইনে পড়ানো:
বর্তমানে অনলাইনে কোচিং বা অন্যান্য যে কোন জায়গায় পড়িয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আপনি যোগাযোগ করে পড়ানোর ব্যবস্থা করতে পারেন এবং আপনার পড়ানো যদি তাদের ভালো লাগে তাহলে আপনাকে মাসে মাসে প্রচুর টাকা বেতন দিয়ে চাকরি দিয়ে দিবে।
এখানে কাজ করতে হলে শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে । যারা বাইরে গায়ে খেতে পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করে তাদের তুলনায় আপনারা এই কাজ করে কয়েকগুণ বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইনে বর্তমানে প্রচুর ইনকামের সুযোগ রয়েছে এবং আপনারা সার্চ করে এই সমস্ত আরো অনেক তথ্য খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে অনেকেই এবং অনেকেই এটাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং এখান থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
নিত্যনতুন এই ধরনের চাকরির আপডেট ও প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।
Join Telegram Channel : CLICK HERE