পশ্চিমবঙ্গে প্রাইমারিতে চাকরি করা b.ed প্রার্থীদের চাকরি বাতিল! অবশেষে ৫০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের স্বপ্ন পূরণ

যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা বিএড পাস করে পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারিতে চাকরি করছেন অবশেষে তাদের চাকরি নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেল। কলকাতা হাইকোর্টের একটি বিরাট বড় রায় বেরিয়েছে যেখানে বিএড করা চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি নিয়ে টানাটানি। এর ফলে যারা বিএড পাস করে প্রাইমারিতে চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি চলে যেতে চলেছে। ফলে যারা ২০২২ প্রাইমারি টেট পাস করে রয়েছেন তাদের আরও শুন্য পদের সংখ্যা প্রচুর বৃদ্ধি পাবে। খুব দ্রুতই পশ্চিমবঙ্গে ২০২২ প্রাইমারিতে ইন্টারভিউ নোটিশ প্রকাশিত হবে যেখানে নতুন করে প্রচুর শূন্য পদে নিয়োগ করা হবে। অবশেষে ৫০ হাজার শূন্য পদে নিয়োগের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই।

২০২২ এ যারা প্রাইমারি টেট পাস করে রয়েছেন তারা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন যারা ২০২০ তে বিএড ডিগ্রি দেখিয়ে প্রাইমারিতে চাকরি পেয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে। অবশেষে রায় পর্ষদের বিপক্ষে যায় এবং মামলাকারিদের পক্ষে হয়। ইতিমধ্যে এই রায়ের শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে তবে এই রায়ের স্থাপিতাদেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে যেহেতু এই একই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি কেস চলছে তাই। তবে যতদূর জানা গিয়েছে রায় মামলাকারীদের পক্ষে গিয়েছে।

ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে একটি রায় দেওয়া হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে বিএড পাস করে কেউ প্রাইমারিতে চাকরি করতে পারবেন না। প্রাইমারির ক্ষেত্রে বিএড ডিগ্রী বৈধ নয়। এই সূত্র ধরেই টেট পাশ প্রার্থীরা বিএড করে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং সমস্ত বিএড পাশদের সার্টিফিকেট বাতিলের আবেদন জানান। অবশেষে এই রায়ের ফাইনাল শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে তবে রায়দান আপাতত স্থগিতাদেশ রয়েছে। যদিও এই মামলা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের সরকারের তরফ থেকে তাই আমাদের রাজ্যেও এই মামলার ফাইনাল শুনানি এখনো দেওয়া হয়নি।

সোনালী মামলাকারীদের পক্ষে গিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে প্রাইমারির ক্ষেত্রে ডি এল এড এর ডিগ্রী বৈধ তবে বিএড করে যারা প্রাইমারিতে চাকরি করছেন তারা কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। ফলে তাদের চাকরিও বাতিল হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার সঙ্গে সঙ্গে এ রাজ্যের ফাইনাল শুনানির রায়দান ঘোষণা করে দেওয়া হবে।

এর চাকরিপ্রার্থীদের বিপক্ষে রায় গেলে প্রচুর পরিমাণে প্রাইমারিতে শূন্য পদের সংখ্যা বাড়বে ফলে ৫০ হাজার শূন্য পদে নিয়োগের দাবি পূরণ হবে চাকরিপ্রার্থীদের। তবে যতদূর জানা গিয়েছে রায় মামলাকারীদের পক্ষে গিয়েছে, তাই b.ed করে প্রাইমারিতে চাকরি করা শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

পর্ষদের তরফ থেকে এই মামলাটি খারিজ করে দিতে বলা হয়েছিল কিন্তু বিচারপতির সিনহা এই মামলাটি খারিজ করেননি এবং রায় মামলাকারীদের পক্ষেই গিয়েছে। তবে এই মামলার ফাইনাল শুনানির রায়দান আপাতত স্থগিতাদেশ রয়েছে। তাই কয়েক হাজার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য ঝুলে রইল।

আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE 

নিত্যনতুন এই ধরনের প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।

Join Telegram Channel : CLICK HERE

Leave a comment