নতুন এই প্রকল্পে আবেদন করলেই আপনি প্রতি মাসে পেয়ে যাবেন 3000 করে টাকা | Govt New Scheme

ভারত সরকারের একটি প্রকল্প সম্পর্কে আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা করে পেয়ে যেতে পারেন। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর একটির পর একটি নতুন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি চালু করে চলেছেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি কর্মসূচি হল ই শ্রম (E Shram Card) কার্ড। দেশের অস্থায়ী এবং অসংগঠনিক শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকারের এই উদ্যোগ। দেশে প্রায় ৪০ কোটির বেশি মানুষ অসংগঠনিক শ্রমিকের মধ্যে পড়ে থাকে। দেশের প্রায় দুই কোটির বেশি শ্রমজীবী মানুষ ই শ্রম কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করছে ।এরা দৈনিক পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করে থাকে।

ই শ্রম কার্ডের (E Shram Card) মাধ্যমে এই সকল শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। করোনা মহামারীর পর থেকে এই অসংগঠনিক শ্রমিকরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তাই সরকার দ্বারা এই প্রকল্পটির সূচনা করা হয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সুবিধা পেতে গেলে ই শ্রম কার্ডকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আপনি বা আপনার পরিবারের সদস্য যদি অসংগঠনিক শ্রমিকের মধ্যে পড়েন তাহলে আজই ই শ্রম কার্ডে আবেদন করতে পারেন। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে ই শ্রম কার্ডের সুবিধা, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, আবেদন প্রক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তার জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদনটি পড়তে থাকুন।

ই শ্রম কার্ডের সুবিধা (E Shram Card Benefits)

১. ই শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত করা প্রার্থীরা তাদের বয়স ৬০ বছর অতিক্রম হওয়ার পর প্রতিমাসে তাদের ৩,০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে।

২. ই শ্রম কার্ডের নাম নথিভূত করা ব্যক্তি এক্সিডেন্ট এর ফলে অঙ্গহানি বা পঙ্গু হলে, সরকারের তরফ থেকে তাকে এক লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেয়া হবে।

৩. এছাড়াও ব্যক্তি যদি কোন কারণবশত মারা যায তবে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা বীমার সাহায্য দেওয়া হবে।

৪. এই কার্ডের নাম নথিভুক্ত করা ব্যক্তি অন্যান্য প্রকল্প থেকে অর্থাৎ PM Kishan, PMAY, PMJAY ইত্যাদি থেকেও সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। এগুলি ছাড়াও আরো অন্যান্য সরকারের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকবে।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা (Criteria)

ই শ্রম কার্ডে আবেদনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এগুলি হল-

১. অসংগঠনিক ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিরাই এই কার্ডে আবেদন করতে পারবে।

২. আবেদনকারীর বয়স সীমা সর্বনিম্ন ১৬ বছর ও সর্বাধিক ৫৯ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।

৩. এছাড়াও আবেদনকারী ইপিএফও(EPFO), ইএসআই(ESI) এর সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিরা এই শ্রম কার্ডে আবেদন করতে পারবে না।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

১. ই শ্রম কার্ডে আবেদনের জন্য আবেদনকারীর পরিচয় পত্র হিসাবে আঁধার কার্ড (Aadhaar Card)।

২. আবেদনকারীর নিজস্ব একটি বৈধ মোবাইল নাম্বার (Mobile Number)।

৩. ব্যক্তির নিজের নামের ব্যাংকের একাউন্ট নাম্বার (Bank Account Number)।

আবেদন প্রক্রিয়া

ই শ্রম কার্ডে আবেদনের জন্য আবেদনকারী ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। এর জন্য ই শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। এরপর যাবতীয় তথ্য দিয়ে আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করে আবেদন পত্রটির ফাইনাল সাবমিট করে দিতে হবে। উপরিউক্ত ধাপ অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে পারবেন। ই শ্রম কার্ড থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য আজই আবেদন করুন।

Leave a comment