সুখবর সুখবর সুখবর!! পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় হতে চলেছে হাজার হাজার শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ। মধ্যেই বিরাট বড় ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে স্থান তৈরি করে দিচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। রাজ্য সরকারের তরফে একসঙ্গে একাধিক কর্মসংস্থানের জন্য প্রচুর সংস্থান তৈরি করা হয়েছে এবং সমস্ত জায়গায় প্রচুর কর্মী নিয়োগ করা হবে। কিছুদিন আগেই রাজ্যে গড়ে ওঠা World Trade center গুলিতে প্রায় ১০০০০ শূন্য পদে কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা বর্তমান যুগে দেখতেই পাচ্ছি যে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ, কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে যে রকম দুর্নীতি করা হচ্ছে তাতে সরকারি চাকরি পরীক্ষা দেওয়ার পরও এ সকল প্রার্থী পাশ করছে তারা চাকরি পাচ্ছে না। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার একের পর এক শূন্য পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করছেন। এছাড়াও তিনি রাস্তাশ্রী ও পথশ্রী প্রকল্পের প্রায় ১০ লক্ষ শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করছেন । এতে করে আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীরা বেকারত্বের দুর্দশা থেকে মুক্তি লাভের আশ্বাস পেয়েছেন।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদনীপুরের একটি জেলা শহরে গিয়েছিলেন সেখানে তিনি মেদিনীপুরের নয়াচর নামক এলাকায় বলে এসেছেন ১০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করবে। সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে যে পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচার নামক এলাকাটি ৮ হাজার একক জায়গা জুড়ে রয়েছে। সেখানে প্রায়ই ছোট বড় ৭ হাজার ৬০০ পুকুর রয়েছে। আর সেই জলাশয়কে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্ম সংস্থান গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এছাড়াও একের পর এক পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করা হবে। প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে স্থায়ী চাকরি থেকে শুরু করে অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক ভাবেও প্রচুর কর্মী নিয়োগ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচর এলাকায় জলাশয় গুলিকে একত্র করে কয়েকটি ইউনিট এ ভাগ করা হবে। এক একটি ইউনিটের অধীনে ৫০-৬০ একর এলাকা বিভক্ত করা হবে তারপর সেই জলাশয় গুলিকে লিজ দেওয়া হবে। তারপর মাছ চাষ করা হবে। তারপর পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচার নামক এলাকাটি কে মৎস্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে। সেখানে আগে থেকেই প্রায় ৫০০ জন মত মানুষ কোন রকম ইউনিট ছাড়াই নিজেরাই নিজেদের মতো মৎস্য চাষ করছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৎস্যজীবী দের আয় বাড়ানোর জন্য এলাকায় মানুষদের একত্রিত করে মৎস্য চাষীদের একটি করে জলাশয় লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই এলাকায় প্রায় ৮০ টি মৎস্য সমবায় গড়ে তুলবেন বলেছেন। অর্থাৎ মানুষ একত্রিত ভাবে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেছেন কোন মৎস্য চাষী যদি চান ব্যক্তিগত ভাবে জলাশয় লিজ নিতে তাহলে তাকে সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। তাহলে যে সকল প্রার্থী চাইছেন জলাশয় লিজ নিয়ে কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে তারা দ্রুত সরকারের কাছে আবেদন করতে পারবে।
আপনাদের যদি আমাদের পেজের খবর গুলি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। রোজ নতুন নতুন খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হতে পারেন।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
Join Telegram Channel : CLICK HERE