ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনভাবে বিপর্যস্ত যে তার কোন সীমা পরিসীমা নেই। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই কোন বিভাগ বা কর্মক্ষেত্র গুলির থেকে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না করার জন্য এই ধরনের পরিস্থিতির সূচনা হয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর প্রভাব তো বটেই তার সাথে সাথেই প্রভাব বিস্তার করেছে আমাদের ভারতবর্ষের জনজীবনেও। এই জনজীবনে এমনভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে, যে মানুষ জনকে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
মূলত এই সমস্ত কারনেই আমাদের ভারতবর্ষের বেকারত্বের সংখ্যা আজ চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। এই চরম পর্যায়ের থেকে এই বেকারত্বের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে আমাদের ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকার তথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির ঘোষিত নিয়োগের কথা চির স্মরণীয় হয়ে থাকতে চলেছে। তিনি এক বৈঠকে বশে নিজের মুখে ঘোষনা করেছিলেন যে তিনি ভারতবর্ষের বেকারত্বের অবসান ঘটানোর জন্য দশ লক্ষ শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করবেন।
তাঁর এই ঘোষিত বার্তাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য দিনের পর দিন প্রকাশিত করেই চলেছেন বিভিন্ন দপ্তর এবং কর্মক্ষেত্রগুলির থেকে নিত্যনতুন শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। আর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যেমন সমস্ত ভারতবর্ষের বেকার যুবক-যুবতীদের মনের মধ্যেই এক প্রকার আনন্দের উৎফুল্লিততার প্রকাশ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ঠিক তেমনই এই সমস্ত বেকার যুবক-যুবতীদের মুখের মধ্যেও ফুটে উঠেছে হাসির অভিনব দৃশ্য। দীর্ঘদিন অপেক্ষার প্রহর গোনার মুহূর্ত শেষ হওয়ার মাধ্যমে উপকৃত হতে চলেছেন ভারতবর্ষের লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক যুবতী।
সেইরকমই আরও এক নতুন প্রকল্পের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করেছেন আমাদের দেশের বেকারত্বের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে। এই যে নতুন প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্তকরণ এর সূচনা হয়েছে, এখানে আবেদন করলে আবেদনকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সরাসরি চাকরীতে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কি এই প্রকল্প? এই প্রকল্পের আবেদন কিভাবে করা যাবে? এবং এই প্রকল্পের আবেদন করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে? এছাড়াও এই প্রকল্পের আবেদনের শেষ তারিখ কবে? এই সমস্ত বিষয়ে খুটিনাটি জানার জন্য এই প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
প্রকল্পের নাম:-
এই যে নতুন প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্তকরণ এর সূচনা হয়েছে, এখানে আবেদন করলে আবেদনকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সরাসরি চাকরীতে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই প্রকল্পের নাম হল – দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্ৰামীন কৌশল্য যোজনা ( Dindayal Upadhyay Gramin Kousalya Yojona )।
প্রকল্পের আবেদন করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে:-
এই যে নতুন প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্তকরণ এর সূচনা হয়েছে, এখানে আবেদন করলে আবেদনকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সরাসরি চাকরীতে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও এখানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য কোনরকম টাকা-পয়সা লাগবে না। সুতরাং আপনি যদি এখানে আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে এই প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
এছাড়াও এখানে প্রশিক্ষণ চলাকালীন রয়েছে স্টাইপেন্ড বা বৃত্তির ব্যাবস্থা। অর্থাৎ আপনি এখানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় প্রতিমাসে আপনাকে বৃত্তি স্বরূপ কিছু টাকা দেওয়া হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:-
আপনি যদি উপরোক্ত প্রকল্পের আবেদন করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে। অর্থাৎ আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে নিচে দেওয়া ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে আপনাকে অনলাইন আবেদন টি সম্পূর্ণ করতে হবে। নিচে দেওয়া ওয়েবসাইটে গেলে আপনাকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম। অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফিলাপ করে সেকানে আপনার সমস্ত ডকুমেন্টস আপলোড করে ফাইনাল সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আপনার আবেদন প্রক্রিয়া টি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
নিয়োগ পদ্ধতি:-
এই যে নতুন প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্তকরণ এর সূচনা হয়েছে, এখানে আবেদন করলে আবেদনকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সরাসরি চাকরীতে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবেদনের শেষ তারিখ:-
এখানে আবেদন করার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এখানে আপনি অনলাইনে বেশ কিছু দিন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। তাই আর বেশি দেরি না করে ইতিমধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে ফেলুন।