মাধ্যমিক পাশে JIO কোম্পানিতে বিরাট বড় নিয়োগ, মোট শূন্য পদ 7789 টি | Jio Work from Home Jobs 2023

বর্তমানের যুগ হল টেকনোলজির যুগ। সারা পৃথিবীর এমন কোন প্রান্ত নেই যেখানে প্রযুক্তিবিদ্যার আভাস পৌঁছায়নি। আর বর্তমানের এই প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রের অন্যতম একটি প্রধান অঙ্গ হল টেলিকমিউনিকেশন। এই টেলি কমিউনিকেশন পরিষেবার মাধ্যমে বর্তমানকালে মানুষ পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের সঙ্গে খুব সহজেই যুক্ত থাকতে পারে। এই টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা প্রদানের জন্য সারা পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য টেলিকম কোম্পানি গড়ে উঠেছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভোডাফোন, এয়ারটেল ও অন্যান্য আরো অনেক। পৃথিবীর সকল দেশগুলোর সাথে সাথে আমাদের দেশেও এই সকল টেলিকম কোম্পানির পরিষেবা উপলব্ধ আছে। তবে আমাদের দেশের নিজস্ব কয়েকটিও টেলিকম কোম্পানি রয়েছে যেমন আইডিয়া, BSNL, রিলায়েন্স ইত্যাদি। এই রিলায়েন্স কোম্পানিই ২০১৬ সাল থেকে পরিচিত হয়েছে Jio কোম্পানি নামে। বর্তমানে এটি ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বড়ো টেলিকম কোম্পানি। আগের রিলায়েন্স কোম্পানির তুলনায় নতুন নামে পরিচিত এই Jio কোম্পানিটি অনেক বেশি এবং ভালো সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে। আমাদের সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই কোম্পানির প্রায় কয়েক হাজারেরও বেশি শাখা ছড়িয়ে রয়েছে। আজ এই সকল স্থানেই অসংখ্য শূন্য পদে মোটা অংকের বেতনে চাকরিতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এখানে আবেদন করতে পারবেন দেশে যে কোন প্রান্ত থেকে যেকোনো ধরনের ইচ্ছুক প্রার্থী। আর সবচেয়ে বড় যে কথাটি তা হল যে এটি সম্পূর্ণভাবে এটি সম্পূর্ণ ভাবে একটি ওয়ার্ক ফ্রম হোম জব। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কর্মীদের বাড়ির বাইরে গিয়ে কোনো রকম কাজ করতে হবে না। তাই আর কথা না বাড়িয়ে নিচে এ সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করা হলো।

শূন্য পদের বিবরণ:-

এই জিও কোম্পানির পক্ষ থেকে আজ যে ওয়ার্ক ফ্রম কাজের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে যে এখানে শুধু এক রকমেরই শূন্য পদ রয়েছে। আর সেটি হল কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শাখায় ইচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজটি করতে হবে। এক্ষেত্রে মূলত প্রার্থীদের যে কাজের দায়িত্ব নিতে হবে তা হল ঐ কোম্পানির কাস্টমারদের ফোন বা চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করা। যে সমস্ত প্রার্থী এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন, তাদেরকেই সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য নিয়োগ করা হবে। এখানে মোট শূন্য পদের সংখ্যা হল ৭৭৮৯টি। কাজেই ঘরে বসেই এরকম নামকরা এক কোম্পানির অধীনে ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ কিন্তু কেউ হাতছাড়া করবেন না। কারণ এত ভালো সুযোগ কিন্তু সহজে আসে না।

কি ধরনের যোগ্যতা লাগবে ?

এক্ষেত্রে কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ পদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাজের জন্য আবেদন করতে গেলে প্রার্থীদের যে রূপ শিক্ষাগত এবং অন্যান্য যোগ্যতার দরকার হবে তা নিজে আলোচনা করা হলো।

১. প্রার্থীদের যে কোন সরকারি বোর্ডের অধীনে ন্যূনতম মাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে।

২. উচ্চ শিক্ষার অধিকারী প্রার্থীরা এখানে আবেদনের যোগ্য।

৩. প্রার্থীকে তিনি যে রাজ্যের বাসিন্দা সেই রাজ্যের ভাষা অবশ্যই লিখতে, বলতে ও পড়তে জানতে হবে।

        এছাড়া আর বিশেষ কোনো যোগ্যতার কথা এ সম্পর্কে ব্যক্ত করা হয়নি। 

বয়স সীমা:-

জিও কোম্পানির তরফ থেকে প্রকাশ করা এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাজের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীদের বয়স সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে ব্যক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে এখানে আবেদন করতে গেলে ইচ্ছুক প্রার্থীদের ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স হলেই তারা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য কোন বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নেই।

আবেদন প্রক্রিয়া:-

এক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে প্রার্থীদের সম্পূর্ণভাবে অনলাইনের মাধ্যমে। 

১. প্রথমেই জিও কোম্পানির নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট www.jio.com ওপেন করতে হবে। অথবা ইন্টারনেট থেকে আপনারা Jio Careers অ্যাপটি ডাউনলোড করেও এই পদ্ধতিটি করতে পারেন।

২. এরপর উপরোক্ত ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে প্রার্থীদের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অথবা যাদের অ্যাকাউন্ট আগে থেকেই আছে তাদের নিজে নিজের একাউন্টে লগইন করতে হবে।

৩. তারপর মেনু অপশনে ক্লিক করে Career সেকশনে প্রবেশ করতে হবে।

৪. এরপর বিভিন্ন ধরনের কাজের একটি তালিকা আসবে গ্রিডের আকারে। এর মধ্যে থেকে Freelance অপশনের ওপর ক্লিক করে প্রার্থীদেরকে তার পছন্দমত ঠিকানা ও কাস্টমার সাপোর্ট এক্সিকিউটিভ পদের নাম লিখে সংশ্লিষ্ট পদের জন্য শূন্য পদের সন্ধান করতে হবে।

৫. তারপর যেকোনো একটি শূন্য পদের নিচের Apply Now বাটানে ক্লিক করে জিও কোম্পানির কাছে নিজের বায়োডাটা পাঠিয়ে দিতে হবে। তাহলেই আবেদন প্রক্রিয়া শেষ।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:-

এখানে আবেদন করার সময়ে প্রার্থীদের বিশেষ কিছু নথিপত্র সেখানে সাবমিট করতে হবে না। শুধুমাত্র নিজের একটি বায়োডাটা প্রথমে বানিয়ে রাখতে হবে ও পরে সেটিকে আবেদন করাকালীন পাঠিয়ে দিতে হবে যেমনটা উপরে বলা হয়েছে। তবে প্রার্থীদের ইন্টারভিউ এর সময়ে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় নথিপত্র যেমন বয়সের প্রমাণপত্র, ফটো আইডি প্রুফ, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ ইত্যাদি দরকার হতে পারে।

নিয়োগ প্রক্রিয়া:-

জিও কোম্পানির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে যে কথা বলা হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে তা হল যে এখানে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য কোন রকম অফলাইন বা অনলাইন পরীক্ষার আয়োজন করা হবে না। শুধুমাত্র একটি ইন্টারভিউ এবং ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে প্রার্থীদের যাচাই করে কাজের জন্য নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ইন্টারভিউ হবে সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে। নিজের কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে অ্যাপ্লিকেশন করার পরই নির্দিষ্ট ইন্টারভিউ এর লিংক দিয়ে দেওয়া হবে প্রার্থীদের ইমেইল আইডিতে। সেই লিংকের মাধ্যমে ইন্টারভিউতে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট উপায় তা সম্পূর্ণ করতে হবে। ইন্টারভিউর মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্যতা এবং দক্ষতাকে ভালোভাবে খতিয়ে দেখে তবেই তাদেরকে কাজের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।

বেতন কাঠামো:-

এখানে নিয়োগের পর কর্মীদের বেতন প্রদানের বিষয়ে  কোনো নির্দিষ্ট সীমা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে যে এখানে প্রার্থীরা যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত বেশি তারা রোজগার করার সুযোগ পাবেন। সুতরাং এটা হল একটি কমিশন ভিত্তিক কাজ। কোনো ব্যক্তি যদি দিনে মোটামুটি ৮ ঘন্টার কাছাকাছি কাজ করতে পারেন তবে তিনি মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারবেন। তবে সম্পূর্ণটাই করতে হবে ঘরে বসে অনলাইনে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কর্মীদের কোনো দিকে পয়সা ব্যয় হওয়ার সুযোগ নেই। তাই যা রোজগারই হবে সেটাই তাদের উপকারে আসবে।

আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা:-

জিও কোম্পানির চালু করা এই ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আবেদন করার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। প্রার্থীরা যখন খুশি যেদিন খুশি সেদিনই আবেদন করতে পারেন এবং উপযুক্ত হয়ে থাকলে এখানে সহজেই কাজ করে প্রতিমাসে মোটা টাকা ইনকাম করতে পারেন। এ বিষয়ে আরো জানতে উপরোক্ত ওয়েবসাইটে গিয়ে বিশদে জেনে নিন।


OFFICIAL WEBSTE: CLICK HERE

Leave a comment