ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেতে চলেছেন কয়েক কোটি টাকা পুজোর মধ্যেই। Bank New Scheme

বাঙালির সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উৎসব শারোদৎসব । শুধুমাত্র বাঙালি জাতি বলতে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের শারোদৎসব কে এক মহান উৎসব রূপে দেখা হয়।  শরৎকালের সাধারণত ভাদ্র আশ্বিন মাসে শরৎকাল। এই শরতের কাশফুলের মনোরম প্রাকৃতিক শোভা যেন স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করে দেয় শারোদৎসব তথা দুর্গাপুজোর আগমনবার্তা। 

দুর্গাপূজা সত্যিই প্রতি ভারতবাসীর জন্য এক যুগান্তকারী আর চাঞ্চল্যকর সুখবর এর সাথে সাথে প্রতিটি মানুষের খরচের বহর  তিনগুণ বেড়ে যায় শুধু কী তাই? না। প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম যেন আকাশশ্পর্ষী হয়ে ওঠে । তা সাধারণ মানুষ যেন হাপিয়ে ওঠে এই খরচ সামলানোর জন্য ।

এই খরচ ভার হালকা করার উদ্দেশ্যেই বহু মানুষের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকতে চলেছে প্রায় 50 হাজার করে টাকা । 

হ্যাঁ । আপনি ঠিকই শুনেছেন অনেক মানুষের একাউন্টে ঢুকতে চলেছে এই 50 হাজার করে টাকা । 

তবে এবার আমাদের জানতে হবে কে, বা কারা, বা কাদের একাউন্টে ঢুকবে এই মোটা অংকের অর্থ। কিভাবে আবেদন করলে আপনি বৈধভাবে এ টাকা পেতে পারবেন। এবং এ টাকার বিনিময়ে আপনি কি করতে পারবেন।

 এখনো পর্যন্ত শেষ এবং চূড়ান্তভাবে যা জানা গিয়েছে তাতে করে সর্বমোট 50000 টাকা ঢোকানো হবে প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে এখন আপনার মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এটা ঘুরঘুর করবে এই যে এই অর্থ কিভাবে পাওয়া যাবে সরাসরি নিজের একাউন্টে।

 এই 50000 টাকা ,তথা এই মোটা অংকের অর্থ সুবিধা ভোগ করতে চলেছে কোটি কোটি কৃষক যারা বস্তুতপক্ষে অত্যন্ত দরিদ্র । কোটি কোটি কৃষককে প্রদান করা হবে এই টাকা ঠিকই কিন্তু তা এক প্রকার কৃষি ঋণ হিসেবে। ধার্য করা হয়েছে 50000 টাকা। এই অর্থ আপনি যে শুধুমাত্র কৃষি ক্ষেত্রে খরচ করতে পারবেন তাই নয় । আপনি এই অর্থ টি নিয়ে আপনার ইচ্ছে মত যে কোন খাতে খরচ করতে পারবেন। যদিও এটি কৃষিঋণ তবুও আপনি আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছার মাধ্যমেই খরচ করতে পারবেন এই মোটা অংকের বিপুল পরিমানের অর্থ।

 কিভাবে এই সুবিধা আপনি পেতে পারেন:-

আমরা সকলেই আপাতত এই ধারণা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হয়েছি যে এই প্রকল্প কেবলমাত্র কৃষকদের জন্য । যেহেতু আপনি এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন সেহেতু আপনাকে অতি অবশ্যই একজন কৃষক হতে হবে । যদি আপনি একজন কৃষক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আবেদনটি বৈধ বলে গৃহীত হবে । এবং আপনি ঐ প্রকল্পের মোটা অংকের অর্থ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

 যেহেতু কৃষকরাই একমাত্র এই স্কিম এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে, সেহেতু আপনাকে আপনার নিজস্ব নামে জমি থাকা একান্ত ভাবে প্রয়োজনীয়। সেক্ষেত্রে আপনার খতিয়ান নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। আর তা যদি না থাকে তাহলে আপনি এই স্কিমেরর জন্য উপলব্ধ হতে পারবেন না । এবং আপনি যদি আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার আবেদনপত্রটি বাতিল করা হবে।

 এছাড়া যেহেতু এটি একটি কৃষি ঋণ এবং এটি দেওয়া হবে আপনাকে সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। সেইহেতু আপনার একটি ব্যাংক পাস বই থাকা একান্তভাবেই জরুরি। এবং যদি আপনার ব্যাংকের কোন পাস বই না থাকে তাহলে আপনি এই প্রকল্পের জন্য বৈধ বলে বিবেচিত হবেন না।

 এর পরবর্তীতে আপনার যেটা একান্তভাবেই থাকতে হবে সেটি হলো KCV বা কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড। যেটি ছাড়া আপনার এই আবেদনটিকে কোন ভাবেই বৈধ বলে বিবেচিত করা যাবে না।

 কোন সংস্থা কি জন্যই বা এই অর্থ দিচ্ছে:-

 দেশের সকল অধিবাসী কৃষকদের জন্য এটি একটি নতুন প্রকল্প হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। যেটা নির্ধারিত করেছে আমাদের ভারতীয় একটি প্রভাবশালী ব্যাংক তথা PNB বা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক( Punjab National Bank)। এই মর্মে একটি ট্যুইটও( Tweet ) করেছে PNB তথা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক( Punjab National Bank) এর অফিশিয়াল পেজ থেকে। যার মাধ্যমে বলা আছে যে এটি কোন নির্দিষ্ট কৃষক নয়, দেশের কোটি কোটি কৃষক এই সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।

 এটি লোন আকারে প্রদান করা হবে বা কৃষি ঋণ হিসেবে প্রদান করা হবে।  যার পরিমাণ ধার্য হয়েছে মোট সর্বমোট 50000 টাকা।

 এই প্রকল্পের খুঁটিনাটি :-

আপনি যদি একজন কৃষক হয়ে থাকেন এবং উপরোক্ত সমস্ত আবেদনযোগ্য শর্তাবলী আপনার মধ্যে থেকে থাকে এবং আপনি যদি ওই শর্তাবলী গুলি অতিক্রম করে থাকেন তাহলে আপনি এই প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারবেন। এখানে আপনি দুই রকম ভাবেই আবেদন করতে পারেন। যথা অনলাইন এবং অফলাইন।

 যদি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চান এই প্রকল্পের অধীনে তাহলে আপনাকে সরাসরি PNB তথা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের (Punjab National Bank)অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনপত্রটি সম্পূর্ণ নির্ভুল ও সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। যদি কোনো তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত হয় তাহলে কিন্তু আপনি এই প্রকল্পের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

 এবং আপনি যদি অফ্লাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে চান, তাহলে আপনাকে যেকোন পিএনবি (PNB) তথা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক ( Punjab National Bank) এর যে কোন শাখায় গিয়ে আবেদনপত্রটি সম্পূর্ণ নির্ভুল তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।

এখনো পর্যন্ত এতটাই জানতে পারা গেছে সূত্র মারফত। বিশদ জানতে ফলো করুন পিএনবি তথা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক ( Punjab National Bank) এর ওয়েবসাইট বা আমাদের এই সাইটটি। আমরা কোন সূত্র পেলেই আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো তৎক্ষণাৎ কোন একটি নতুন পোস্টের মাধ্যমে। চোখ রাখুন আমাদের এই সাইটটিতে।

নতুন এ ধরনের প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে পেতে অবশ্যই আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান।

Join Telegram Channel : CLICK HERE

Leave a comment