সাম্প্রতি একটি অভিযোগ উঠেছে যেখানে বলা হয়েছে লক্ষী ভান্ডারের টাকা ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে এবং আরো একটি অভিযোগ উঠেছে যেখানে বলা হয়েছে অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। কেন এমন হলো, এতদিন পরে কেন টাকা ঢোকা বন্ধ হয়ে গেল বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কেনই বা টাকা কাটা হচ্ছে, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনারা অবশ্যই বিস্তারিতভাবে এই আপডেটটি জেনে নেবেন। আপনি তা আপনার পরিবারের কেউ যদি লক্ষী ভান্ডারে টাকা পেয়ে থাকেন তাহলে এই আপডেটটি জানা একান্ত প্রয়োজন। এই আপডেটটি না জানলে পরবর্তীকালে বিপদে পড়তে পারেন। তাহলে চলুন বিস্তারিত ভাবে এই আপডেটটি জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যের জনকল্যাণের কথা চিন্তা ভাবনা করে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এই রাজ্যের প্রত্যেকটি বিবাহিত মহিলাকে এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া হতো। বর্তমানে বাংলার ১ কোটি ৯০ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা লাভ করছেন। তবে বর্তমানে এই প্রকল্পের টাকা ঢোকা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অনেক মহিলা রয়েছেন যারা টাকা পাওয়ার যোগ্য নয় তারাও এই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাচ্ছেন আবার কেউ হয়তো টাকা পাওয়ার যোগ্যতার একাউন্টে কোন টাকায় ঢুকছে না।
আর এইসব অনিয়ম ও সমস্যার কারণে লক্ষ্মী ভান্ডারে টাকা ঢোকা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা কারো কারো অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। যাদের একাউন্টে ভুল করে টাকা ঢুকে গিয়েছিল তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। বা অনেকের টাকা ঢোকা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে এখন প্রশ্ন হল আপনি জানবেন কি করে আপনি এই টাকা পাওয়ার যোগ্য কিনা। এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন এবং এর উত্তর সে দেওয়া হল।
এবার নতুন করে এই প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এই পরিবর্তনে যাদের প্রয়োজনীয় বেশকিছু ডকুমেন্টস নেই তারা এই প্রকল্পের টাকা পাবেন না। এই প্রকল্পে টাকা পেতে গেলে সরকারের নির্ধারিত নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। যেমন-
১) মহিলার নিজের নামে সিঙ্গেল বা নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
২) মহিলার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকতে হবে যদি কারো না থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি বানিয়ে নিতে হবে।
৩) ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক থাকতে হবে।
৪) SC, ST মহিলারা এই প্রকল্পের টাকা পান তাদের কাস্ট সার্টিফিকেট অতি অবশ্যই থাকতে হবে।
৫) একমাত্র বিধবা ভাতা ছাড়া আর অন্য যে কোনো প্রকল্পের সুবিধা যদি কোনো মহিলা পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি এই প্রকল্পের টাকা পাবেন না।
এছাড়াও আরো নতুন একটি সমস্যা রয়েছে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পকে ঘিরে। অনেক মহিলার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢোকার পরেও আবার তা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এমনটা কেন হচ্ছে তাহলে জানিয়ে রাখি। এমন অনেক মহিলার ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা জাতীয় কোনো যোজনায় টিক চিহ্ন দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। এইসব প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত থাকলে বছরে ৩৩০ টাকা করে প্রিমিয়াম হিসেবে কাটা হয়। যদি কারো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এমন হয়ে থাকে তাহলে তারা অবশ্যই ব্যাংক একাউন্ট চেক করে দেখতে পারেন। এই চিহ্ন থাকার কারণে ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা কাটা হচ্ছে।
যদি কারো ব্যাংক একাউন্টে এমন থেকে থাকে তাহলে তারা অবশ্যই ব্যাংকে গিয়ে এই নামটি কাটিয়ে আসতে পারেন। আর যে সমস্ত প্রার্থীর উপরের দেওয়া সরকারি নির্দেশ গুলো ঠিকঠাকমতো মান্য করেন নি তারা অবশ্যই সরকারি নিয়ম মানবেন তাহলে আর ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢোকা বন্ধ হবে না। এই সমস্ত প্রসেস সবকিছু ঠিকঠাকভাবে পালন করলে সকলেই লক্ষী ভান্ডারের টাকা পেয়ে যাবেন।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
Join Telegram Channel : CLICK HERE