দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যবাসীরা যে চাকরির আশায় বসে ছিলেন অবশেষে সেই আশা পূর্ণ হতে যাচ্ছে এবার, নতুন করে নিয়োগ হতে যাচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়ার। সামনে দুর্গাপুজো আর এই দুর্গাপুজোর আগেই নতুন করে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য নতুন করে চাকরির বিশাল বড় সুখবর। ইতিমধ্যেই একটি update বেরিয়ে এসেছে যেখানে বলা হয়েছে রাজ্যের প্রায় ৩৫ হাজার শুন্য পদে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হবে যার মধ্যে সর্বাধিক নিয়োগ করা হবে সুদূর কলকাতাতেই যেখানে প্রায় 18 হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় হবে এই নিয়োগ এবং এই নিয়োগ পূজোর আগেই সম্পন্ন হবে।
চাকরি পাওয়ার বিশেষ সুবিধা রয়েছে কারণ এখানে কোনরকম লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করানো হবে। নতুন এই ঘোষণা সমগ্র রাজ্যের সৃষ্টি করেছে এক আলোড়ন এবং এই ঘোষণায় খুশিতে উৎফুল্ল রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশ দপ্তরের তরফ থেকে বলা হয়েছে সামনে রয়েছে দূর্গা পুজো আর এই পুজোর মরশুমে যাতে কোনরকম ঝুট সম্মেলন না হয় এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণেই মূলত এই নিয়োগ।
পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজো হলো পৃথিবীর বিখ্যাত এবং এই দুর্গাপুজো দেখতে প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে পূজার সময়। আর কিছুদিন পরেই দূর্গাপুজো এবং এই দুর্গাপুজোয় বিপুল ভিড় হয় সমগ্র রাজ্যে ছোট বড় প্রতিটি শহরেই এবং সে যত পুলিশ রয়েছে সেই পুলিশের পক্ষে এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্ত কিছু লক্ষ্য করে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন করে এবার সমগ্র রাজ্য জুড়ে স্বেচ্ছাসেবক বা ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হবে। যাদের এখানে নিয়োগ করা হবে তাদের সিভিক ভলেন্টিয়ার এর অনুরূপ কাজ করতে হবে। এর সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে এই ৩৫ হাজার নিয়োগের মধ্যে সুদুর কলকাতাতেই নিয়োগ করা হবে ১৮ হাজার এবং বাকি নিয়োগ হবে অন্যান্য জেলাতে। এছাড়াও আরো জানানো হয়েছে ৮ হাজার নিয়োগ করা হবে ভাঙ্গড় বিধানসভা এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গর জেলাতে আইনশৃঙ্খলা ঠিকঠাকভাবে রক্ষা করার জন্যই এই নিয়োগ।
এখানে যাদের নিয়োগ করা হবে তাদের প্রথমত কন্ট্রাকচুয়াল ভাবে নিয়োগ করা হবে এই পুজোর উপলক্ষে। তাই এখানে চাকরি পাওয়ার পরে তাদের চাকরি কতদিন পর্যন্ত স্থায়ীত্ব থাকবে সে ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এই চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার পরে যারা চাকরি পাবেন তাদের পরবর্তীকালে কোন কাজে যুক্ত করা হবে সেটা পুরোপুরি নির্ভর করবে সরকারের উপর।
এখানে যারা চাকরি পাবেন তাদের পুজোর কয়েক দিন এবং পুজোর আগে পিছনে মিলিয়ে ১০ দিন পর্যন্ত ডিউটি করতে হবে এছাড়াও ডিউটি চলাকালীন টিফিন খাবারের ব্যবস্থাও থাকবে এবং নিয়মিত প্রতিদিন নির্দিষ্ট ভাতাও দেওয়া হবে।
এখানে আবেদন পদ্ধতির সম্পর্কে এখনো বিস্তারিতভাবে জানা যায়নি। পুজোর আগেই এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। তাই যারা যারা এখানে আবেদন করতে ইচ্ছুক তারা সকলেই অতিসত্বর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে জেনে নিতে পারেন। ইতিমধ্যেই এই চাকরির আপডেটটি বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
নিত্যনতুন এই ধরনের চাকরির আপডেট ও প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।
Join Telegram Channel : CLICK HERE