লক্ষ্মীর ভান্ডারও হার মানবে! এই প্রকল্পে প্রতি মাসে ২০০০ টাকা দিচ্ছে সরকার, তাড়াতাড়ি আবেদন করুন | Aikyashree Prakalpa new Apply 2024

By Sujit Roy

Updated on:

মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের জন্য একের পর এক দুর্দান্ত প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন বারংবার। নতুন একটি প্রকল্প নিয়ে আবার হাজির হয়েছি যেখানে পেয়ে যাবেন মাসে ২০০০ টাকা। অর্থাৎ বছরে পাবেন ২৪০০০ টাকা। রাজ্য সরকারের যেই সমস্ত প্রকল্প রয়েছে এইসমস্ত প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, কৃষক বন্ধু ইত্যাদি। এইসমস্ত প্রকল্পগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। সারা বিশ্ব জুড়ে চরম খ্যাতি অর্জন করেছে এই প্রকল্প। তবে আজকের প্রতিবেদনের মূল বিষয় কিন্তু লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়।

আজকের প্রতিবেদনে কথা বলবো রাজ্য সরকারের অন্য একটি প্রকল্প নিয়ে। এই প্রকল্পের নাম ঐক্যশ্রী প্রকল্প। তবে রাজ্যের সমস্ত সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না। এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন শুধুমাত্র রাজ্যের পড়ুয়ারা। রাজ্যের মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি, জৈন ও শিখ শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য। এই প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীরা কি সুবিধা পাবেন? আবেদন করার জন্য কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন? সমস্ত তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানাবো আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে।

এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের দরিদ্র শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সাহায্য করার জন্য আর্থিক সাহায্য করা। এই ধরনের প্রকল্প আগেও নিয়ে হাজির হয়েছিলেন রাজ্য সরকার। কিন্তু এই প্রকল্প সমস্ত প্রকল্পের থেকে আলাদা। এই প্রকল্পে আর্থিক অনুদান পরিমাণ বাকি প্রকল্পগুলির থেকে অনেক বেশি। এই প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর পড়াশুনার জন্য ২ বছরে ৪৮,০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। এমবিবিএস সহ বিভিন্ন পেশাদারী পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ৫ বছরের জন্য ২৪,০০০ টাকা পেয়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিএডের ক্ষেত্রে ২ বছর ১৮,০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন ছাত্র ছাত্রীরা।

রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলির ন্যায় এই প্রকল্পেও আবেদনের কিছু শর্ত আছে। এই শর্তগুলি পূরণ না হলে আপনি আবেদন করতে পারবেন না। কি সেই শর্ত? জানাবো বিস্তারিত ভাবে। পড়ুয়াদের পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীকে অবশ্যই মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি, জৈন অথবা শিখ সম্প্রদায়ের হতে হবে। এই প্রকল্পের সুবিধা পাবার জন্য পড়ুয়াদের অবশ্যই রাজ্যের স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে হবে। এইসমস্ত শর্তগুলি পূরণ না হলে আপনি আবেদন করতে পারবেন না এই প্রকল্পে।

গত শুক্রবার একটি বৈঠকে তাঁত শিল্পীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কথা সকলকে মনে করিয়ে দেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মোট ৫১৫ জন তাঁতি উপকৃত হবেন। তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা শিল্পীদের থেকে পুজোর আগে কাপড় কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এর জন্য শ্রীরামপুর ও ধাত্রীগ্রামে দুটি ক্যাম্প করা হবে। তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।

সম্প্রতি হ্যান্ডলুম অফিসাররা তাঁতিদের সাথে একটি বৈঠকে বসেছিলেন এবং কোন খাতে কিভাবে টাকা ব্যয় করা হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ১০০ জন তাঁতিদের তাঁত শিল্পের জন্য সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের শিল্পীরা অনেক উপকৃত হবেন এবং হস্তচালিত তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।

কেন্দ্র সরকারের দ্বারা পরিচালিত এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে হলে প্রথমেই আবেদনকারী কে একটি পেনশন একাউন্টের সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। এরপর সঞ্চিত অর্থ কেন্দ্র সরকার তার নির্দিষ্ট তহবিলের সঞ্চয় রাখবেন এবং যখন সে ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর পার হবে তখন প্রতি মাসে মাসে ৩০০০ করে টাকা পেয়ে যাবেন। এখনো পর্যন্ত সমগ্র ভারতবর্ষে ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৫৮ জন কৃষক আবেদন করেছেন আরো প্রচুর জনগণ এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন। এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে কৃষকদের জন্য নির্ধারিত কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে আধার কার্ড এবং ব্যাংক একাউন্টের ডিটেলস জমা করতে হবে। এরপর নাম বয়স সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।

এখানে অনলাইনের মাধ্যমেও আবেদন জানানোর জন্য যাবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্টস আপলোড করে আবেদন পত্রটি পূরণ করতে হবে। এখানে সঞ্চিত অর্থের উপর কেন্দ্র সরকার আরো ৫০% টাকা দেবেন। অর্থাৎ PM-SYM পেনশন স্কিমে 50:50 অনুপাতের ভিত্তিতে সুবিধাভোগী এবং কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা করা মিলিত অবদান হবে। এরপর কৃষকরা অটো ডেবিট হ্যান্ডেড ফ্রম প্রিন্ট আউট করে নেবেন অনলাইন থেকেই। এরপর থেকে ৬০ বছর বয়সের পর নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে থাকবে কৃষকদের। মাসে মাসে তিন হাজার করে টাকা পেয়ে যাবেন।

আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE 

নিত্যনতুন এই ধরনের প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।

Join Telegram Channel : CLICK HERE

Leave a comment